দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস

 ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, যার মাধ্যমে ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে।

এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লিকে ‘রণকৌশল প্রণয়নের কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে— এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা সংস্থার একাধিক সূত্র।



বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান গণহত্যা মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ১৩ নভেম্বর ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ৩৭ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র।


সূত্র জানায়, দিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স বাংলো জোনে ভারত সরকারের দেওয়া সুরক্ষিত বাসভবনেই এখন অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি মেয়েসহ একটি ‘ওয়ার রুম’ গড়ে তুলেছেন। নিয়মিত চিকিৎসক ও নার্সসহ সাবেক এক হাইকমিশনার এবং ভারতীয় আইনজীবী তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।


তবে আন্দোলন পরিচালনা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ৪ নভেম্বর হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানা গেছে। পুতুল তার মাকে সাময়িকভাবে চুপ থাকার পরামর্শ দিলে হাসিনা ক্ষিপে যান।


এরপর ১১ অক্টোবর শেখ হাসিনার দিল্লির গোপন বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় চার ঘণ্টাব্যাপী গোপন বৈঠক, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক শীর্ষ নেতা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রাক্তন কর্মকর্তারা।


বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—


লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আকবর হোসেন (সাবেক ডিজিএফআই প্রধান)

হাবিবুর রহমান (সাবেক ডিএমপি কমিশনার)

বিপ্লব কুমার সরকার (সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার)

আসাদুজ্জামান খান কামাল (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)

সাইফুল ইসলাম (সাভারের সাবেক এমপি)

মহিউদ্দিন বাচ্চু (সাবেক এমপি, চট্টগ্রাম)

সাইমুম সরোয়ার কমল (সাবেক হুইপ, কক্সবাজার)

আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু (ফরিদপুরের সাবেক এমপি)

ছোট মনির (টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি)

বৈঠকে তিনটি প্রধান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—

১️⃣ গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের রক্ষার কৌশল নির্ধারণ

২️⃣ ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি

৩️⃣ দলকে পুনর্গঠন করে তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানো এবং ঢাকা–চট্টগ্রামসহ বড় শহরে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি


এই বৈঠক থেকেই দেশের ভেতরে অরাজকতা সৃষ্টির নীলনকশা প্রণয়ন করা হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি।

নিরাপত্তা সূত্রের ভাষ্য, “দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো এখন কার্যত একটি ‘কমান্ড সেন্টার’—সেখান থেকেই নাশকতার প্রতিটি নির্দেশনা আসছে।”

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post