প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, সরকারের জরুরি নির্দেশনা

 রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে ধর্মীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।



সোমবার (১০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুনঃ ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা, কোনো ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রেস উইং আরও জানায়, ডিএমপি এই সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে।

বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, রাজধানীর সব গির্জা এবং সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আন্তঃধর্মীয় ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।


সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার চারটি জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সীমানার ভেতরে এবং সামনের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।


আরও পড়ুনঃ শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো নির্বাচনী এলাকার ফল বাতিলের ক্ষমতা পেল ইসি

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের প্রধান সড়কে মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমণ্ডি-৯ এর ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।


এদিকে, সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post